রবিবার, ১০ মে, ২০১৫

হযরত খাজা নাজিবুদ্দীন চিশ্তী (রহঃ) এর অমৃত বাণী ।



                                      আল্লাহর প্রেমিকাদের পথ বড়ই কঠিন , বড়ই রহস্যময় ।
                                    এই পথের যাত্রী হতে চাইলে , দুনিয়ার মায়াজালে যাহাতে                   
                                      জড়ায়া না পড় , তাহাই ভাল রূপে খেয়াল করে চলিবে ।
                                  ----------------------------------------------

                                     ****** হযরত খাজা নাজিবুদ্দীন চিশ্তী (রহঃ) ********

রবিবার, ৩ মে, ২০১৫

হযরত । খাজা মাঈনউদ্দীন চিশ্তী (রহঃ) এর বানী

(১) এমন জায়গা যেখানে জাহেদগণ হাজার চিল্লায় পৌঁছে ।
এশকের শরাবে মত্ত এক আহ্‌ শব্দে সেখানে পৌঁছে ।

======== খাজা গরিবে নেওয়াজ রহঃ =========

(২) হে তৃষ্ণার্থ :- গুণাহর উপত্যকায় নৈরাশ্যবাদী হয়ো না ।
আল্লাহর রহমতের সাগরের ঢেউ এসে পৌঁছেছে ।

======== খাজা গরিবে নেওয়াজ রহঃ =========

(৩) কালের এসব বালা-মুসিবতে কেঁদো না-খুশি থাকো ।
কেন না , বন্ধুর তীর বন্ধুর পাশে এসে পড়ে ।

======== খাজা গরিবে নেওয়াজ রহঃ =========

(৪) রুটি-রুজির চিন্তা ছাড় . এবং রিজিক দাতাকে চিন ।
তারপর দেখ , তোমার হৃদয়ের কাঙ্ক্ষিত রিজিখ কিভাবে পৌঁছে ।

======== খাজা গরিবে নেওয়াজ রহঃ =========

(৫) আল্লাহ্‌ চাও , দুনিয়াও চাও এটা একটা পাগলামী ।

========খাজা গরীবে নেওয়াজ রহঃ =========

(৬) "যে আল্লাহর উপরে যত অধিক নির্ভরশীল , সে আল্লাহর তত-অধিক প্রিয়পাত্র হয় । সংসারের কোন অভাব ও দুঃখ কষ্ট তাহাকে স্পর্শ করিতে পারে না ।"

======= খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী রহঃ ==========

(৭) কোনো মুসলমান ভাইকে হেয় জ্ঞানে উৎপীড়নে যে ক্ষতি হয় , অন্য কোনো পাপ কাজে মানুষের সেই পরিমাণ ক্ষতি হয় না ।

========= খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী রহঃ =========
(৮) কেয়ামতের আজাব থেকে মুক্তি পেতে হলে বিপন্ন , দুস্থ ও উৎপীড়িতদের খেদমত করতে হবে । অভাবগ্রস্তদের অভাব মোচন করা এবং ক্ষুধার্তদের আহার প্রদান করা , দানশীলতা নেয়ামতের চাবি ।

========= খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী রহঃ =========

(৯) তিনি প্রকৃত আরেফ , যিনি কোনো অভাবগ্রস্ত ব্যক্তিকে খালি হাতে ফেরান না ।  নেককার ব্যক্তির সংশ্রব নেক কর্ম থেকে উত্তম । পক্ষান্তরে পাপকর্ম থেকে ব্যক্তির সংশ্রব অধিকতর মন্দ ।

========= খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী রহঃ =========

(10) আল্লাহ পাক যাদের ভালোবাসেন , তাদের মাথার ওপর বারিধারার মতো বিপদ বর্ষণ করেন ।

========= খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী রহঃ =========

(১১) পৃথিবীতে প্রত্যেক জামানায় হাজার হাজার অলি-আল্লাহ বিদ্যমান থাকেন । তাদের অনেকেই থেকে যান দৃষ্টির আড়ালে । সুতরাং পৃথিবীকে কখনই আউলিয়া শূন্য মনে করো না ।

========= খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী রহঃ =========

(১২) সর্বাবস্থায় বদনে প্রশান্তি এবং হাসির আভা বিদ্যমান থাকা আরেফ ব্যক্তিদের অন্যতম লক্ষণ । আরেফের মস্তকে বিরামহীন ভাবে নূর বর্ষিত হয় । নীরবতা আরেফের স্বভাব । আরেফ ঐ ব্যক্তি যিনি নিজের হৃদয়কে দুনিয়া ও আখেরাত উভয়ের আকর্ষণ থেকে মুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছেন । প্রতি মুহূর্তে আল্লাহর হাজার হাজার তাজাল্লি তার ওপর বিকশিত হয় ।

======== খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী রহঃ ==========

(১৩) তিনটি বস্তুর মাধ্যমে ইমানের পরিপূর্ণতা লাভ হয় । আল্লাহ ভীতি , আল্লাহ প্রাপ্তির কামনা , আল্লাহর প্রেম ।

======== খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী রহঃ =========

(১৪) তারাই প্রকৃত প্রেমিক , যাদের হৃদয় প্রতি মুহূর্তে জিকিরে নিমগ্ন থাকে , কিন্তু মুখ দেখে তা বোঝা যায না ।

======== খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী রহঃ ==========

(১৫) তরিকত পন্থীদের জন্য ৫টি জিনিস দেখা এবাদত হিসেবে গণ্য মাতা পিতাকে দেখা , কুরআন শরিফ দেখা , আলেমে রব্বানীকে দেখা , বায়তুল্লাহ শরিফ দেখা , স্বীয় মুর্শিদকে দেখা ।

========= খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী রহঃ =========


ফেসবোক ফ্যান পেজে আমি ।।

@[1553622278222682:]

ফেসবোকে আমি



hello i'm hear ...... আমি এখানে ।

শুক্রবার, ১ মে, ২০১৫

ভালবাসায় খাটি বা খালেছ কোন ব্যক্তি ?

খাঁটি প্রেমিক বা ভালবাসায় খা,লেছ কোন ব্যক্তি 
ভালবাসায় খাঁটি বা খালেছ কোন ব্যক্তি ? এই বিষয়ে  কয়েকজন সাধকের মতামত ।

প্রথমে হযরত খাজা মাঈনউদ্দীন চিশ্তী (রহ:) বলেন যে , বন্ধুত্বের মধ্যে খাঁটি ও খা-লেছ সেই ব্যক্তি , যে তাহার বন্ধুর তরফ হইতে শত ক্লেশ-নির্যাতন  , লান্ছনা-গন্জনা ভোগ করিলেও তাহা হাসিমুখে বরণ করিয়া নেই ।

দ্বিতীয় হযরত শেহাবুদ্দীন (রহ:) বলিলেন যে , ভালোবাসা বা প্রেম-প্রীতির ক্ষেত্রে সত্যিকার সেই ব্যক্তি , যে তাহার প্রিয়তমের ধ্যানে এমনই উন্মুক্ত যে , তদবস্তায় তরবারির হাজার আঘাতও সে টের পায় না ।

ত্বতীয় হযরত আজল সিরাজী (রহঃ) বলিলেন যে , প্রভু আল্লাহর প্রেমে সেই ব্যক্তিই সত্যিইকার প্রেমিক , যাহাকে কাটিয়া টুকরো টুকরো করিয়া ফেলিলে বা আগুনে জ্বালাইয়া ভম্ব করিয়া দিলেও তাহাকে বিস্মৃত হয় না ।


চতুর্থ হযরত সাইফুদ্দীন (রহ:) বলিলেন যে , প্রভু প্রেমে সত্যিকার অর্থে খাঁটি সেই ব্যক্তি , যে তাহার প্রভুকে ভালবাসতে গিয়া অনবরত বিপদাপন্ন হইতে থাকে , একটির পর একটি আঘাত খাইতে থাকে কিন্তু তাহা সত্ত্বেও তাহার প্রভুর প্রতি মহব্বত হ্রাস পাওয়া দূরের কথা বরং উত্তরোত্তর বৃদ্ধিই পাইতে থাকে ।


পন্চম (এই বুজগের নাম মনে নেই ) তিনি বলিলেন , এমন ব্যক্তির ভালোবাসাই হইল নিখুঁত ভালোবাসা , যেই ব্যক্তি হাজার সমস্যায় জর্জরিত , দুঃখ ও কষ্ট ক্লেশে জীবন দুর্ব্যিষহ , তাহা সত্ত্বেও প্রভু আল্লাহর স্বরণের সাথে সাথে সে সব কিছু ভুলিয়া যায় । অন্তর ও বদন আনন্দোৎফুল্ল হইয়া উঠে ।


অতঃপর হযরত খাজা মাঈনউদ্দীন চিশ্তী (রহঃ) বললেন যে , আসরারে আউলিয়া কিতাবে দেখিয়াছি , একদা হযরত রাবেয়া বছরী (রহঃ) হযরত খাজা হাসান বছরী (রহঃ) হযরত মালেক দীনার (রহঃ) এবং হযরত খাজা শাকীক বলখী (রহঃ) বছরার কোনো এক স্থানে মজলিসে একত্রিত হইয়া এই বিষয়টির উপর নিজ নিজ মন্তব্য পেশ করিয়া ছিলেন ।

হযরত খাজা হাসান বছরী (রহ:) বলিয়াছিলেন যে , প্রভু আল্লাহর মহব্বতে সেই খাঁটি , যে আল্লাহকে ভালোবাসিতে যত রকম মুছীবতই আসুক না কেন পরম ধৈযের সাথে তাহা বরণ করিয়া নেয় । তাহা শুনিয়া হযরত রাবেয়া বছরী (রহ:) বলিলেন , হে দরবেশ । ইহার মধ্যে অহংকারের ঘ্রাণ ভাসিয়া আসে ।

ইহার পর হযরত মালেক দীনার (রহঃ) বলিলেন , ভালোবাসায় খাঁটি সেই ব্যক্তি , যে তাহার প্রভুকে ভালোবাসিতে গিয়া তাহার তরফ হইতে যত দুঃখই প্রাপ্ত হউক না কেন প্রসন্ন মনে তাহা গ্রহণ করে এবং সর্ববস্থায় সে প্রভুর উপর খুশি থাকে । 
তাহা শুনিয়া রাবেআ বছরী (রহঃ) বলিলেন , আরও কিছু হইলে ভালো হইত না কি ?

ইহার পর হযরত খাজা শাকীক বলখী (রহঃ) বলিলেন , মাওলার ভালবাসায় সম্পূর্ণ নিখুঁত সেই ব্যক্তি , যাহাকে কাটিয়া রিজা রিজা করিয়া ফেলিলেও সে তাহা অনুভবই করে না ।


ইহার পর হযরত রাবেআ বছরী (রহঃ) বলিলেন ,যেই ব্যক্তি কাহারও প্রকৃত প্রেমিক , তাহার উপর বিপদ আসুক , দুঃখ ক্রেশে তাহাকে ঘিরিয়া ধরুক , আঘাতের উপর আঘাত আসুক , সে লোকের নিন্দা ও তিরস্কার সমাজচ্যুত হইয়া যাক , তাহার প্রিয় মাশুকের কথা খেয়াল হওয়া মাত্রই সব কিছু ভুলিয়া যায় ।

হযরত খাজা মাঈনউদ্দীন চিশ্তী (রহঃ) বললেন , আমার নিকট তাহার এই মন্তব্যই পছন্দ হয়েছে । হযরত শায়খ সাইফুল্লাীন (রহ:) বলিলেন , হাঁ এই ব্যক্তিই সত্যিকার খোদা প্রেমিক ।